পড়াশোনা শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন বাংলাদেশের প্রতিটি যুবকের। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের সমস্ত ভার নিজের কাধে নেওয়ার ইচ্ছা সবারই থাকে৷ এই স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য একটা সময়ে মানুষ চাকরির পিছনে ছুটত৷ তবে একবিংশ শতাব্দীতে এসে চাকরির চেয়ে রোমাঞ্চকর একটি সেক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যবসা৷ বর্তমানে সারাবিশ্বেই তরুনেরা নিত্য নতুন ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে বিপুল পরিমানে অর্থ উপার্জন করছে। আপনার যদি ব্যবসাকে পেশা হিসেবে নেওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে বুদ্ধিমানের কাজ হবে একটি পাইকারি ব্যবসা শুরু করা। তবে হাতে কিছু পরিমাণে পুঁজি নিয়ে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে হবে। পাইকারি ব্যবসা করতে যদিও পুঁজি বেশি লাগে, কিন্তু খুচরা ব্যবসার চেয়ে ঝামেলা কম। আবার, লাভের পরিমাণ বেশি। এই লেখাটিতে আমরা পাইকারি ব্যবসা কি, কোন ব্যবসা কেমন লাভজনক এবং কিছু লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করব।
তো, চলুন শুরু করা যাক!
পাইকারি ব্যবসা কি?
পাইকারি ব্যবসা কে সাধারণত সহজভাবে বলতে গেলে কোন উদ্যোক্তা কে বোঝানো হয়।
যেমন এখানে পণ্য উৎপাদনকারী এবং ওই পণ্যের ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটা মাধ্যম। আর যিনি এ মাধ্যমে জড়িত থাকে তাকে আমরা সাধারণ অর্থে পাইকার বলি।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা সাধারণত ফসলের চাষী বা মূল উৎপাদকদের কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করে। এরপর সেগুলো গুদামজাত করে। উৎপাদকদের কাছ থেকে কম দরে পণ্য ক্রয় করে সেগুলো খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি দরে পৌছে দেওয়াই পাইকারি ব্যবসায়ীর কাজ।
তবে পাইকারি ব্যবসায়ীদের অনেক বেশি পরিমাণে পণ্য কিনতে হয়। পরবর্তীতে, সেগুলো ধীরে ধীরে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দিতে হয়। পাইকারী ব্যবসা হলো পণ্য বন্টন প্রণালীর একটি নির্দিষ্ট অঙ্গ। পণ্য বন্টন প্রণালী বলতে আমরা যা বুঝি তা হল-
পণ্য উৎপাদক> পাইকারি ব্যবসায়ী> খুচরো ব্যবসায়ী> পণ্য ভোক্তা
অর্থাৎ, উৎপাদন প্রতিষ্ঠান এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের মাঝখানের সেতুবন্ধন হিসেবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা কাজ করে থাকে।
পাইকারি ব্যবসা শুরুর প্রস্তুতি
আপনি যদি কিছু পুঁজি হাতে নিয়ে পাইকারি ব্যবসা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তবে শুরুতেই আপনাকে অভিনন্দন! নতুন ব্যবসা শুরুর রোমাঞ্চকে দমিয়ে রেখে ব্যবসাতে নামার প্রস্তুতি শুরু করে দিন৷ পুরো পরিকল্পনাকে এমন উপায়ে ভাগ করে নিবেন, যাতে আপনার জন্য সকল কাজের ব্যবস্থাপনা সহজে হয়।
পাইকারি ব্যবসা শুরুর প্রস্তুতি বিষয়ে আপনার পরিকল্পনা গুলোকে সহজ করে দিতে এখন আমরা পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া ও প্রস্তুতি নিয়ে কিছু আলোচনা করব৷
ব্যবসায় লাভের সম্ভাব্যতা যাচাই করুন
ব্যবসয়ায় নামার আগে সর্বপ্রথম নিজেকে প্রশ্ন করুন, যে পণ্যটি আপনি বিক্রয় করতে চলেছেন, আপনি ক্রেতা হলে ঐ দামে পণ্যটি কিনতেন কিনা। পরবর্তীতে, খাতা-কলম নিয়ে খুব ভাল ভাবে হিসাব করে ফেলুন যে ব্যবসাটিতে আপনার বিনিয়োগ ও সেখান থেকে সম্ভাব্য মুনাফার পরিমানের পার্থক্য কেমন থাকে৷
মুনাফার হিসেবের ক্ষেত্রে আরেকটি বিষয় লক্ষ্য রাখুন, পাইকারি ব্যবসাটি আপনাকে যে মুনাফা দেবে সেটা কতদিন পর্যন্ত দিতে থাকবে। মুনাফা ও বিনিয়োগ এর হিসাব করে ব্যবসায় নামার মূল কারন হচ্ছে, আপনি মুনাফা করতেই ব্যবসায় নামছেন। এটি নিশ্চয় কোনো দাতব্য সংস্থা হিসেবে শুরু করছেন না?
ব্যবসার পুঁজি বা অর্থের সংস্থান করুন
যেকোনো ব্যবসাতেই প্রথম বছরে মুনাফার পরিমান অনেক কম থাকে। তাই ব্যবসা শুরু করার আগেই মোটামুটি ১ বছরের পুঁজি জোগার করে রাখুন। হুটহাট ব্যবসা শুরু করার পর পুঁজির অভাবে অধিকাংশ ব্যবসাই বন্ধ হয়ে যায়। আপনার ক্ষেত্রে এই ঘটনাটি যাতে না ঘটে সেকারনে আপনি ব্যবসা শুরুর আগেই যত টাকা মূলধন প্রয়োজন সেটির জোগার করে ফেলুন।
পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কথা বলার আগে তাই আপনার পুঁজির পরিমান কেমন সেটি ঠিক করে ব্যবসাতে নামুন। পুঁজির পরিমান কম হলে কি ধরনের ব্যবসা শুরু করবেন সেগুলো নিয়ে পরামর্শকদের সহায়তা নিতে পারেন।
TIN, EIN সহ অন্যান্য লাইসেন্স গুলোর জন্য আবেদন করুন
ব্যবসা শুরু করার জন্য যে সমস্ত লাইসেন্স ও সার্টিফিকেট প্রয়োজন সেগুলোর জন্য যত দ্রুত সম্ভব আবেদন করুন। ব্যবসায় নামতে হলে অনেক সময় স্থানীয় বিজনেস লাইসেন্স এর প্রয়োজন হতে পারে। আবার, এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট লাইসেন্স, ভেন্ডর লাইসেন্স ইত্যাদিরও প্রয়োজন হতে পারে।
ট্যাক্স পরিচয় নাম্বার (TIN) ও এমপ্লয়ির পরিচয় নাম্বার (EIN) ব্যবসার জন্য সবচেয়ে জরুরি। এগুলোর মধ্যে প্রচলিত আইনে যেটি আপনার কোম্পানির জন্য প্রযোজ্য সেটির জন্য আবেদন করুন। এই নাম্বারটি আপনার কোম্পানি নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হবে। এছাড়া বছর শেষে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করতেও এই নাম্বার প্রয়োজন হতে পারে। আপনার শুরু করা পাইকারি ব্যবসার ধরন ও জায়গা অনুযায়ী কি কি লাইসেন্স এর প্রয়োজন সেগুলোর তথ্য নিয়ে আবেদন করুন।
একটি ব্যবসায়িক ব্যাংক হিসাব খুলুন
পাইকারি ব্যবসা শুরুর সাথে সাথেই ব্যবসায়ের জন্য যেকোনো ব্যাংকে একটি আলাদা ব্যাংক একাউন্ট তৈরী করে ফেলুন। আপনার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ও ব্যবসায়িক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পৃথক রাখা একজন ব্যবসায়ীর জন্য পেশাদার একটি পদক্ষেপ। যেকোনো ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দেওয়া উচিত৷ তাই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য পৃথক ব্যাংক একাউন্ট তৈরী করা অনেক জরুরি।
ব্যবসার প্রচারের জন্য ওয়েবসাইট ও সোসাল মিডিয়া প্রোফাইল তৈরী করুন
ব্যবসায় নামার পর প্রচার প্রচারণা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আপনার ব্যবসায়ের প্রচারের জন্য ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো সবচেয়ে ভাল সমাধান।
একজন ভাল ওয়েব ডেভেলপারের মাধ্যমে আকর্ষনীয় ওয়েবসাইট তৈরী করলে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা তৈরী হবে৷ ভাল মানের কন্টেন্ট আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভাবে আপলোড করতে পারেন। সোসাল মিডিয়ায় প্রতিষ্ঠানের নামের মাধ্যমে পেজ খুলে সহজেই আপনি প্রতিষ্ঠানের প্রচার চালাতে পারেন। তাই ব্যবসার প্রচারের জন্য সোসাল মিডিয়া ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করা ব্যবসায়ের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ।
ব্যবসায়ের প্রস্তুতি বিষয়ে জানার পর এখন আমরা কিছু লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করব।
কিছু লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া
লেখাটির পূর্বের অংশগুলো পড়ে থাকলে আপনি এতক্ষনে পাইকারি ব্যবসা কি ও এটি শুরু করার আগে কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন সেটি জেনে গেছেন। এখন, আমরা কিছু লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কথা বলব৷
মোবাইল ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীর পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া
আজকাল বাংলাদেশের সবার হাতে হাতে রয়েছে মোবাইল ফোন ও নানা ধরনের ইলেকট্রনিক সামগ্রী। মোবাইল এক্সেসরিজ এর মধ্যে রয়েছে চার্জার হেডফোন ব্যাটারি ফোনের কভার পাওয়ার ব্যাংক ইত্যাদি আবার অন্যান্য ইলেকট্রনের মধ্যে রয়েছে মাইক্রোফোন সাউন্ড বক্স টিভি স্মার্ট ওয়াচ ইত্যাদি।
এসব মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী চীন থেকে আমদানি করে সেগুলো নিয়ে পাইকারি ব্যবসা শুরু করা যায়। তাছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন ইম্পোর্টার রয়েছে যাদের কাছ থেকে কিছু টাকা বেশি মূল্যে নিয়ে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা যায়।
মোটামুটি ভালো মানের পুঁজি থাকলে মোবাইল এক্সেসরিজ ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য সামগ্রী পাইকারী ব্যবসা করে প্রচুর টাকা আয় করা যায়।
টিশার্ট এর পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া
স্বল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে হলে টি-শার্ট আপনার জন্য সবচাইতে উপযোগী একটি ব্যবসা। বাংলাদেশের প্রচুর পরিমাণে গার্মেন্টস থাকায় টি-শার্টের ব্যবসা আপনি সহজেই শুরু করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় সকল উপরকরণও হাতের নাগালেই পাবেন।
এক্ষেত্রে আপনাকে যা করতে হবে সেটি হল, প্রথমত, বিভিন্ন গার্মেন্টস ও টি-শার্ট তৈরির কারখানায় পাইকারি দরে কিছু টি শার্ট কিনতে হবে। এরপর সে গুলোকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রির জন্য পাঠাতে হবে। আপনার টি-শার্ট ব্যবসা সমৃদ্ধ হলে একসময় আপনি বিদেশি বায়ারদের কাছেও টি-শার্ট বিক্রি করতে পারবেন।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া
“নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য” শব্দটি থেকেই আমরা বুঝতে পারব যে, আমাদের সব সময় প্রয়োজন হয় এমন পণ্য-দ্রব্য গুলোকেই মূলত বুঝাচ্ছে৷ এই পণ্যগুলোর মধ্যে চাল ডাল,তেল, লবণ, বিভিন্ন ধরনের মসলা ইত্যাদি অন্যতম। এই পণ্যগুলোর চাহিদা সব সময়েই সমান থাকায় পাইকারি ব্যবসার আইডিয়াটা হিসেবে এটি সবচেয়ে ভাল।
মূলত বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউটর এর কাছ থেকে এই দ্রব্যগুলো পাইকারি দরে কিনে সেগুলো চাহিদা অনুযায়ী মুদি দোকানিদের কাছে বিক্রি করাই হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাজ। এক্ষেত্রে নিত্য নতুন পণ্যের খোঁজ রাখা ও গ্রাহকের চাহিদা মাথায় রেখে পণ্য সরবারাহের সক্ষমতা অর্জন করা ব্যবসায়ে সফলতার জন্য জরুরি৷ সততার সাথে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পাইকারী ব্যবসা করতে পারলে মাঝারি ধরনের পুঁজি নিয়ে আপনি বছর শেষেবেশ ভাল রকমের মুনাফা আয় করতে পারবেন।
থ্রি-পিস এর পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া
থ্রি-পিস ও অন্যান্য কাপড়ের পাইকারি ব্যবসা বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷ বিশেষ করে বেকার নারীদের কর্মসংস্থান এর জন্য থ্রি-পিস এর পাইকারি ব্যবসার আইডিয়াটি অনেক উপকারী৷ বর্তমানে নারীদের পোষাক হিসেবে থ্রি-পিস সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। তাই বাজারে প্রচুর পরিমাণ থ্রি পিস আইটেম রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, যেকোনো পরিমানের পুঁজি নিয়েই এই পাইকারি ব্যবসাটি শুরু করা সম্ভব।
আপনাকে শুরুতে গার্মেন্টস বা থ্রি-পিস তৈরীকারক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পাইকারি দরে কিছু থ্রি-পিস ক্রয় করতে হবে৷ এরপর চাহিদা ও কোয়ালিটি অনুযায়ী সেগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানের খুঁচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে হবে। তাছাড়া, ফেসবুকে গ্রুপ ও পেজের মাধ্যমে সরাসরিও আপনি থ্রি পিস গুলো ই-কমার্সের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন৷ এতে আরো বেশি পরিমানে মুনাফা আসবে।
স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া
বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেশি হওয়ার স্বাভাবিকভাবেই ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যাও অনেক বেশি। এই বিপুল পরিমান ছাত্র-ছাত্রীর লেখা পড়ার জন্য প্রচুর স্টেশনারি আইটেমের প্রয়োজন। বেশ চাহিদা সম্পন্ন খাত হওয়ায় বর্তমানে বেশ কয়েকটি দেশী কোম্পানি স্টেশনারী আইটেম তৈরী করছে।
স্টেশনারি আইটেম বিক্রির ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হচ্ছে, এটিতে লাভের পরিমানে অনেক কম। ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছ থেকে পাইকারি দরে পণ্য কিনে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পৌছে দেওয়াই স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসায়ীর কাজ। তবে, মূল কারখানা থেকে পণ্য নিয়ে বিক্রি করতে পারলে কিছুটাকা বেশি আয় করা সম্ভব। এ ধরনের পাইকারি ব্যবসায় খুব বেশি পরিমানে পুঁজিরও প্রয়োজন হয় না৷ তাই পুঁজির পরিমান কম হলে আপনি স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া কাজে লাগাতে পারেন।
উল্লেখিত এই পাইকারি ব্যবসা গুলো ছাড়াও বাংলাদেশে হাজার হাজার পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া রয়েছে। আপনি যে ব্যবসাটি শুরু করে ভালো করতে পারবেন বলে আত্মবিশ্বাস রয়েছে এবং যে ব্যবসায় নামার মত পুঁজি রয়েছে, সে ব্যবসাটি শুরু করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
শেষ কথা
আমার এই লেখাটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকলে আপনি ইতোমধ্যেই পাইকারি ব্যবসা কি, পাইকারি ব্যবসা শুরুর প্রস্তুতি কিভাবে নেবেন এবং কিছু লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে ধারনা পেয়ে গেছেন। আপনি যে ধরনের পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে চান না কেন, সবার আগে পাইকারি বাজার সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে।
তাছাড়া আপনার কাছে যে পুঁজি রয়েছে তার সবটুকু বিনিয়োগ না করে, নিরাপত্তার জন্য একটা অংশ আলাদা করে রাখুন। প্রয়োজনে ধীরে ধীরে ইনভেস্ট বাড়াতে থাকুন এবং ব্যবসার প্রসার করতে থাকুন। এই লেখাটি ভালো লেগে থাকলে সোসাল মিডিয়াতে শেয়ার করে অন্যদেরকে দেখার সুযোগ করে দিন।
লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন? জেনে নিন ৬টি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ